Headlines

শিশুর খাবারে অরুচি হলে কী করবেন? অভিভাবকদের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ

শিশুর খাবারে অরুচি হলে কী করবেন? অভিভাবকদের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ শিশুর খাবারে অরুচি হলে কী করবেন? অভিভাবকদের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ

শিশু খাবার খেতে না চাইলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। শিশুর অরুচির কারণ, করণীয়, খাবারের অভ্যাস গড়া ও কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন—সব জানুন এখানে।

শিশু খাবার খেতে না চাইলে বেশিরভাগ অভিভাবকই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তবে মনে রাখা জরুরি শিশুর খাবারে অরুচি অনেক সময়ই সাময়িক এবং স্বাভাবিক। সব অরুচি রোগের লক্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম কাজ হলো অরুচির কারণ বোঝা এবং ধীরে ধীরে সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলা।

শিশুর খাবারে অরুচির সাধারণ কারণ

শিশুর অরুচির পেছনে বেশ কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস দায়ী হতে পারে। যেমন

  • অনিয়মিত খাবারের সময়
  • অতিরিক্ত নাস্তা, চিপস, চকলেট ও কোমল পানীয়
  • খাবারের সময় মোবাইল বা টিভি দেখা
  • জোর করে খাওয়ানোর অভিজ্ঞতা
  • দাঁত ওঠার সময়
  • সর্দি-কাশি, জ্বরের পর
  • কৃমি সংক্রমণ, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ঘুমের সমস্যা

খাবারের সময় নির্দিষ্ট করুন

অরুচি দূর করতে নির্দিষ্ট খাবারের রুটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দিনে ৩ বেলা প্রধান খাবার এবং ২ বেলা হালকা নাস্তার সময় ঠিক করুন। এই সময়ের বাইরে খাবার বা জুস দিলে শিশুর ক্ষুধা নষ্ট হয়।

প্রধান খাবারের আগে টিফিন নয়

খাবারের আগে বিস্কুট, কেক বা চিপস দিলে শিশু মূল খাবার খেতে চাইবে না—এটি অরুচির অন্যতম প্রধান কারণ।

খাবারের সময় যা বর্জনীয়

খাওয়ার সময় টিভি, মোবাইল বা কার্টুন বন্ধ রাখুন। পরিবারের সবাই একসাথে বসে খেলে শিশু খাবারের প্রতি আগ্রহ পায় এবং ভালো অভ্যাস গড়ে ওঠে।

খাবার যেন শাস্তি না হয়

জোর করে খাওয়ানো শিশুর জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। এতে খাবার শিশুর কাছে শাস্তির মতো মনে হয়। অল্প পরিমাণে খাবার দিন, খেতে না চাইলে জোর করবেন না। কয়েক ঘণ্টা পর আবার চেষ্টা করুন।

নাস্তা ও খাবারে বৈচিত্র আনুন

প্রতিদিন একই ধরনের নাস্তা দিলে অরুচি বাড়ে। নাস্তার জন্য দিন

  • ফল
  • দই
  • সেদ্ধ ডিম
  • ভাজা ছোলা
  • ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার

একই উপাদান ভিন্নভাবে রান্না করুন আজ ডিম ভাজি, কাল ডিম কারি, পরদিন ডিম খিচুড়ি। খাবার সুন্দরভাবে সাজালে শিশুর আগ্রহ বাড়ে।

খেলাধুলা ক্ষুধা বাড়ায়

শিশুর নিয়মিত খেলাধুলা ও দৌড়ঝাঁপ নিশ্চিত করুন। বাইরে সময় কাটালে ক্ষুধা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ক্ষুধা কমিয়ে দেয়।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন

নিচের লক্ষণগুলো থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন

  • ওজন না বাড়া
  • অতিরিক্ত দুর্বলতা
  • বারবার অসুস্থ হওয়া
  • দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য
  • পেটব্যথা বা খাবার খেলেই বমি

প্রয়োজনে কৃমির ওষুধ, আয়রন বা অন্যান্য চিকিৎসা লাগতে পারে।

➡️ মেডিকেল ভর্তি ও ভর্তি প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত পেতে ভিজিট করুন:
https://www.bebrainer.app/

➡️ সব নোটিশ ও আপডেট পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হন:
https://t.me/bebrainernursing

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *