গর্ভবতী হলে কি কি টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক 🔬 Pregnancy Tests | BeBrainer Health Tips

🍀 গর্ভকালীন চেকআপের সময়ে আপনাকে রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা ও আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হবে।

গর্ভবতী মা দের যে টেস্ট গুলো অবশ্যই করানো উচিত! 🧑‍⚕️ Don’t Miss These Tests at Pregnancy

🍀 রক্ত পরীক্ষা

গর্ভাবস্থায় সাধারণত যেসব রক্ত পরীক্ষা করানো হয়—

🌟 সিবিসি (CBC): এই পরীক্ষার মাধ্যমে মূলত আপনার রক্তশূন্যতা আছে কি না সেটা পরীক্ষা করা হয়। রক্তশূন্যতা থাকলে ডাক্তার আপনাকে খাবার তালিকায় নির্দিষ্ট কিছু খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন।

🌟 ওজিটিটি (OGTT): পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার ডায়াবেটিস আছে কি না সেটা নির্ণয় করা হয়। ডায়াবেটিস থাকলে আপনাকে বিশেষ ডায়েট চার্ট মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। সেই সাথে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হবে।

🌟 রক্তের গ্রুপিং: রক্তের সঠিক গ্রুপ বের করে রাখার মাধ্যমে পরবর্তীতে যেকোনো কারণে আপনাকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হলে আগেভাগে রক্তদাতা জোগাড় করে রাখা যাবে। এ ছাড়া আপনার রক্ত কোনো নেগেটিভ (-ve) গ্রুপের হলে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হবে।

🌟 হেপাটাইটিস বি ও সিফিলিস পরীক্ষা: HBsAg পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে হেপাটাইটিস বি এর উপস্থিতি এবং VDRL পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে সিফিলিসের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।
প্রস্রাব পরীক্ষা

আপনার শরীরে লক্ষণ না থাকলেও পরীক্ষার মাধ্যমে ইনফেকশনের উপস্থিতি ধরে ফেলার উদ্দেশ্যে মূলত এই পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়া এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্রাবে সুগার ও প্রোটিনের উপস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়। এভাবে এটি ডায়াবেটিসসহ নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্য জটিলতা ধরে ফেলতে সাহায্য করে।

🍀 আলট্রাসনোগ্রাম

এই পরীক্ষার মাধ্যমে একেক সময়ে গর্ভের শিশু সংক্রান্ত একেক ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যেমন: আপনার জরায়ুতে সঠিকভাবে গর্ভধারণ হয়েছে কি না, যমজ অথবা দুইয়ের বেশি সন্তান পেটে আছে কি না, সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ কত, শিশুর শারীরিক বিকাশের হার কেমন, গর্ভফুল ও গর্ভের শিশু ঠিক কোন অবস্থানে আছে ও গর্ভের শিশুর কোনো শারীরিক ত্রুটি আছে কি না।

গর্ভাবস্থায় সাধারণত তিনবার আলট্রাসনোগ্রাম পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রথম চেকআপের সময়েই একবার আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। এরপরে গর্ভকালীন ১৮ সপ্তাহ থেকে ২২ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর কোনো শারীরিক ত্রুটি আছে কি না দেখতে আবার পরীক্ষা করা হয়। অবশেষে ৩৬ সপ্তাহ থেকে ৩৮ সপ্তাহে গর্ভে শিশুর অবস্থান দেখতে তৃতীয় আলট্রাসনোগ্রাম করানো হয়।

এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন যে, আলট্রাসনোগ্রাম একটি ব্যক্তিনির্ভর পরীক্ষা। তাই সবসময় সব তথ্য সঠিকভাবে না-ও উঠে আসতে পারে।

উল্লেখ্য, আপনার স্বাস্থ্যের সার্বিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে আপনাকে আরও কিছু পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে কখন কোন পরীক্ষা করাতে হবে সেটি আপনার স্বাস্থ্য সমস্যার ধরনের ওপরে নির্ভর করবে।

ডাঃ আনিসুজ্জামান
লেকচারার, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ
সিনিয়র কনসালটেন্ট, বিব্রেইনার নার্সিং স্কুল

📲 আমাদের সাথে যোগাযোগের নাম্বার ও লিংকঃ 

📲 FB Message URL:  http://m.me/107474017326176

📞 Telegram: https://t.me/bebrainerltd

🎥 Whatsapp: https://wa.me/+8801796636922

 📞 অফিস নাম্বারঃ 01796636922 / 01312296333 / 01988054815 / 01984808099 

📲 Website: https://www.bebrainer.app/

🎥 Android App: https://play.google.com/store/search?q=bebrainer&c=apps

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights