A Major Depressive disorder
Depression”-এর বাংলা অর্থ হলো “বিষণ্ণতা”। এটি একটি মানসিক অসুস্থতা যেখানে একজন ব্যক্তি দীর্ঘ সময়ের জন্য খুব অসুখী এবং উদ্বিগ্ন অনুভব করে।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে শরীরে হরমোন কম বা বেশি উৎপন্ন হয়। এছাড়া নারীর ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন নামক হরমোনের পরিবর্তন, যা মাসিক ঋতুস্রাব, প্রসব পরবর্তী ঋতুস্রাব, পেরিমেনোপজ বা মেনোপজের সময় হয়ে থাকে; যার ফলে ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে।
বিষণ্ণতা তিন ধরণের হয়- মৃদু, অল্প বা বেশি।
আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক এসোসিয়েশন Depression বা বিষণ্ণতার নয়টি লক্ষণ উল্লেখ করেছে। কারও মধ্যে এই ৯টির পাঁচটি লক্ষণ টানা দু সপ্তাহ বা তারচেয়ে বেশি সময় দেখা গেলে সেটি বিষণ্ণতা হতে পারে।
📜এগুলো হলো:
🏷️দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকা।
🏷️যেসব কাজে আনন্দ পেতো সেসব কাজে আনন্দ ও আগ্রহ কমে যাওয়া।
🏷️ঘুম অস্বাভাবিক কম বা বাড়তে পারে।
🏷️খাবারে অরুচি তৈরি হওয়া বা রুচি বেড়ে যাওয়া।
🏷️ওজন কমে যাওয়া।
🏷️কাজে ও চিন্তায় ধীরগতি হয়ে যাওয়া।
🏷️নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা বা নিজেকে দায়ী মনে হওয়া সবকিছুতে।
🏷️সিদ্ধান্তহীনতা বা মনোযোগ কমে যাওয়া এবং খুব তীব্র হলে আত্মহত্যার চিন্তা পরিকল্পনা ও চেষ্টা করে।
📜হতাশা,বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন দূর করার কিছু উপায়:
🔖সৃষ্টিকর্তা কাছে প্রার্থনা করা:
ধর্ম মানুষকে আশার পথ দেখায়।
ধর্ম মানুষকে শান্তির পথ দেখায়।
ডিপ্রেশনে মানুষ তখনই পড়ে যখন সে আশাহত হয়।মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে।সেখানে ধর্ম শান্তি নিয়ে আসে।
মানুষ আশায় বিশ্বাসী। আশা,আকাঙ্ক্ষা বিশ্বাস করতে শেখায়।সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস মানুষ কে আশা দেখায়। যা ডিপ্রেশন থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
🔖নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখা:
নিজেকে নিয়ে যত ভাবনা চিন্তা মাথায় আসবে ততই হতাশা বা ডিপ্রেশন এ ডুববে।তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে কাজের মাধ্যমে। ছোট-বড়,সহজ যেকোনো কাজে নিজেকে যুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
🔖পরিবার কে সময় দেওয়া:
বর্তমান সময়ে পরিবারে থাকার পরেও দেখা যায় মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগে।তার মুল কারণ পরিবারের মানুষের সাথে ভালো ভাবে যোগাযোগ না থাকা।
পরিবার হলো এমন একটি অকৃত্রিম জায়গা যেখানে নিজেকে চাইলেই ভালো রাখা যায়।
ডিপ্রেশনে দরকার নিজেকে খুশিতে বা আনন্দে রাখা যা পরিবার থেকে না চাইতেই পাওয়া যায়।
🔖ইতিবাচক চিন্তা করা:
ডিপ্রেশনের মুলমন্ত্রই হলো নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা।নিজেকে সব কিছুর দায়ী মনে করা,দোষ না করেও দোষী মনে করা ডিপ্রেশনের সময় স্বাভাবিক ব্যপার। তাই নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা যতই মাথায় ঘুরুক নিজেকে নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা বেশি বেশি করতে হবে।
🔖শারীরিক পরিশ্রম করা:
শারীরিক পরিশ্রম করলে আমাদের শরীর ও মন দুটোই উৎফুল্ল থাকে।কেননা শারীরিক পরিশ্রম শরীরে ব্যায়াম এর কাজে লাগে,যার কারণে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো ভালো থাকে।তেমনি শারীরিক পরিশ্রম ‘’এন্ড্রোফিন’ নামক হরমোন নিঃসৃত করে যা আমাদের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
একজন মানুষ যতোটা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকবে ততটাই তার সমস্যা কাটবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসিকভাবে দৃঢ় থাকা ও আত্মবিশ্বাস রাখা যে আমি পারবো। এজন্য নিজের ইতিবাচক বিষয়গুলোকে ফোকাস করা যেতে পারে এবং ভালো কাজগুলোর চর্চা করা।
ফাহিমা আক্তার নুপুর
বিএসসি ইন নার্সিং
ববরিশাল নার্সিং কলেজ, বরিশাল।
বিব্রেইনার মডারেটর টিম 💙