জেনে নেওয়া যাক স্যালাইনের বৃত্তান্ত…

IV Saline বা স্যালাইন হলো মূলত সোডিয়াম ক্লোরাইড (লবণ) এবং জলের মিশ্রণ যা সাধারণভাবে স্যালাইন নামে পরিচিত। স্যালাইন ওষুধের ক্রিস্টালয়েড পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি সাধারণত প্রতি লিটার (০.৯%) দ্রবণে জীবাণুমুক্ত ৯ গ্রাম লবণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। স্যালাইন অম্লীয়, যার pH মান হলো ৫.৫। চিকিৎসায় স্যালাইনের ব্যবহার শুরু হয় ১৮৩১ সালের দিকে। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় রয়েছে । ২০২০ সালে, সোডিয়াম ছিলো ১ মিলিয়নেরও বেশি প্রেসক্রিপশন সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২৭৪ তম সর্বাধিক নির্ধারিত ওষুধ। রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী স্যালাইনের বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে। একজন নার্স হিসেবে তার নার্সিং ক্যারিয়ারে এগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। তাহলে জেনে নেওয়া যাক স্যালাইনের বৃত্তান্ত!!!

বিভিন্ন স্যালাইনের নাম এবং প্রধান ব্যবহার

১) নরমাল স্যালাইন (০.৯% সোডিয়াম ক্লোরাইড): ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব হলে শরীরের পানি এবং ইলেক্ট্রো‌লাইট ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে নরমাল স্যালাইন প্রয়োগ করা হয়। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যেমন নিম্ন রক্তচাপ বা শকের সময় রক্তচাপ বাড়াতে এই স্যালাইন ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ শিরায় প্রবেশ করানোর জন্যও নরমাল স্যালাইন ব্যবহার করা হয়। যারা মুখে মুখে তরল গ্রহণ করতে পারে না এবং ডিহাইড্রেশন বা হাইপোভলেমিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের জন্য ইন্ট্রাভেনাস নরমাল স্যালাইন ব্যবহার করা হয়। চোখে ব্যবহৃত ড্রপগুলো স্যালাইনযুক্ত হয়ে থাকে। কখনো কখনো রাইনাইটিসের কিছু উপসর্গ থেকে মুক্তি পেতে নাক ধোয়ার কাজেও নরমাল স্যালাইন ব্যবহার হয়।

২) হাইপারটোনিক স্যালাইন (৩% বা ৭% সোডিয়াম ক্লোরাইড): হাইপোনেট্রেমিয়া বা রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা খুব কম হলে এই স্যালাইন ব্যবহার করা হয়। সেরিব্রাল ইডিমা বা মস্তিষ্কে অতিরিক্ত পানি জমে গেলে হাইপারটোনিক স্যালাইন এটি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি মিউকোঅ্যাক্টিভ এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা ঘন শ্লেষ্মা নিঃসরণে সাহায্য করে। ইন্ট্রা-ক্রেনিয়াল প্রেশার এবং পালমোনারি জটিলতার ক্ষেত্রেও হাইপারটোনিক স্যালাইন ব্যবহৃত হয়। সিস্টিক ফাইব্রোসিস ফাউন্ডেশন (সিএফএফ) বর্তমানে সিস্টিক ফাইব্রোসিস চিকিৎসার প্রাথমিক অংশ হিসেবে হাইপারটোনিক স্যালাইনকে সুপারিশ করছে।

৩) হাইপোটোনিক স্যালাইন (০.৪৫% সোডিয়াম ক্লোরাইড): মৃদু ডিহাইড্রেশনের ক্ষেত্রে এবং যখন শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম জমা হয়, তখন এই স্যালাইন ব্যবহার করা হয়।

৪) কোয়ার্টার-নরমাল স্যালাইন (০.২২% সোডিয়াম ক্লোরাইড): এটিতে ৫% ডেক্সট্রোজ থাকে। এটি নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫) ০.১৮% স্যালাইন (০.১৮% সোডিয়াম ক্লোরাইড): এটিতে ৪% ডেক্সট্রোজ থাকে। কখনও কখনও রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

উল্লেখ্য,,, এই স্যালাইনগুলোর প্রয়োগ কেবলমাত্র প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী করা উচিত এবং এগুলোর পরিমাণ রোগীর চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

— Nurani Bashir Oma
College of Nursing, Sher-E-Bangla Nagar, Dhaka (BSc in Nursing)
Senior Student Advisor, BeBrainer.

📲 আমাদের সাথে যোগাযোগের নাম্বার ও লিংকঃ

📲 আমাদের সাথে যোগাযোগের নাম্বার ও লিংকঃ 

📲 FB Message URL:  http://m.me/107474017326176

📞 Telegram: https://t.me/bebrainerltd

🎥 Whatsapp: https://wa.me/+8801796636922

 📞 অফিস নাম্বারঃ 01796636922 / 01312296333 / 01988054815 / 01984808099 

📲 Website: https://www.bebrainer.app/🎥 Android App: https://play.google.com/store/search?q=bebrainer&c=apps

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights