নার্সিং এডমিশন সম্পর্কে খুটিনাটি সব প্রশ্ন ও উত্তর

নার্সিং এডমিশনের ব্যাপারে খুটিনাটি অনেক প্রশ্নই অনেক সময় শিক্ষার্থীরা করে থাকে। এখানে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্ন গুলো করা হয়েছে সেগুলোর উত্তর দেওয়া হলো। এগুলো ছাড়া অন্য কোনো প্রশ্নের উত্তর জানার থাকলে তোমরা অবশ্যই তা করতে পারো।

🔰প্রশ্ন: নার্সিং কেনো পড়বো?
উত্তর: নার্সিং একটি মহৎ পেশার নাম। উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর অধিকাংশ মেয়েদেরই পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে এই পেশাটি। কিন্তু নার্সিং পড়ার যোগ্যতা থাকা সত্যেও শুধুমাত্র সঠিক ধারণার অভাবে মহৎ এ পেশায় আসতে পারছে না। অথচ আমাদের দেশে প্রতিবছরই যোগ্য ও পেশাদার নার্সের চাহিদা বাড়ছে।

🔰প্রশ্ন: বিএসসি ইন নার্সিং পড়ার যোগ্যতা কি?
উত্তর: আবেদনকারীর এইচএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় সর্বমোট নূন্যতম জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। তবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ (GPA) ৩.০০ এর কম গ্রহণযোগ্য হবে না এবং উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে নূন্যতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।

🔰প্রশ্ন: ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি পড়ার যোগ্যতা কি?
উত্তর: আবেদনকারীর এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বমোট নূন্যতম জিপিএ (GPA) ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোন একটি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ২.৫০ এর কম গ্রহণযোগ্য হবে না।

🔰৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং এর কলেজ ও সিট সংখ্যা কতটি?
উত্তর: সরকারি বিএসসি ইন নার্সিং কলেজ ২০টি এবং মোট সিট সংখ্যা ১৫০৫টি।

🔰প্রশ্ন: ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এর কলেজ ও সিট সংখ্যা কতটি?
উত্তর: সরকারি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি ইন্সটিটিউট ৪৯টি ও সিট সংখ্যা ২৮৫৫টি।

🔰প্রশ্ন: ৩ বছর মেয়াদি সরকারী ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি এর কলেজ ও সিট সংখ্যা কতটি?
উত্তর: সরকারি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ইন্সটিটিউট ৬২ টি ও সিট সংখ্যা ১৮২৫টি।

🔰প্রশ্ন: ছেলেরা কি নার্সিং পড়তে পারে?
উত্তর: হ্যা, ছেলেরা নার্সিং পড়তে পারে। ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তির জন্য পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট আসনের ১০ শতাংশ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট আসনের ২০ শতাংশ ভর্তিযোগ্য হইবে। ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে শুধু নারী প্রার্থী আবেদন করতে পারবে।

🔰নার্সিং এ কোটা সিস্টেম:
মোট আসনের ২% আসন মুক্তিযোদ্ধের সন্তান ও সন্তানের সন্তানদের জন্য এবং ১% আসন উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ। বাকি ৯৭% আসন জাতীয় মেধা কোটায় নির্বাচন করা হবে।

🔰প্রশ্ন: নার্সিং এডমিশনে প্রশ্নের মান বন্টন কি রুপ?
উত্তর: রেজাল্ট প্রকাশ করা হয় মোট ১৫০ মার্কের উপর। এর ভিতর ১০০ মার্ক থাকে নৈবেত্তিক অংশ এবং বাকি ৫০ মার্ক থাকে GPA এর উপর।
🔹বিএসসি ইন নার্সিং:
–বাংলা- ২০ মার্ক
–ইংলিশ- ২০ মার্ক
–গনিত- ১০ মার্ক
–সাধারণ জ্ঞান- ২০ মার্ক
–বিজ্ঞান- ৩০ মার্ক (ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি)
🔹ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি:
–বাংলা- ২০ মার্ক
–ইংলিশ- ২০ মার্ক
–গনিত- ১০ মার্ক
–সাধারণ জ্ঞান- ২৫ মার্ক
–সাধারন বিজ্ঞান- ২৫ মার্ক

🔰GPA এর উপর মার্ক কিভাবে হিসাব করা হয়?
উত্তর: এসএসসি ও সমনান পরিক্ষায় প্রাপ্ত GPA এর ৫ গুনিতক এবং এইচএসসি ও সমমান পরিক্ষায় প্রাপ্ত GPA এর ৫ গুনিতক। এভাবে মোট ৫০ মার্ক হিসাব করা হয়।

🔰পরিক্ষায় কত সময় বরাদ্দ থাকে?
উত্তর: মোট ১ ঘন্টা সময় বরাদ্দ করা হয়ে থাকে৷ কিছু হলে সময় শুরুর কিছু সময় পূর্বে ওএমআর শিট দেওয়া হয় যাতে রোল, রেজিষ্ট্রেশন নম্বর এগুলো পূরন করা যায়। আবার কিছু হলে একদম নির্দিষ্ট টাইমেই দেওয়া হয়। এটা হলের টিচারদের উপর নির্ভরশীল।

🔰ফোর্থ সাবজেক্টে ফেইল থাকলে নার্সিং এডমিশন দেওয়া যাবে কিনা?
উত্তর: হ্যাঁ দেওয়া যাবে। যদি তোমার মোট জিপিএ পরিক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য নূন্যতম যে জিপিএ প্রয়োজন তার সমান হয় বা বেশি হয় তাহলে নার্সিং এডমিশনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

📌এছাড়া নার্সিং এডমিশন রিলেটেড আর কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই করতে পারো। তোমার সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে।

–নাফিসা আহম্মদ
বিএসসি ইন নার্সিং
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
বিব্রেইনার মডারেটর টিম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *