Headlines

প্রতিটি নাগরিকের জন্য ইউনিক হেলথ আইডি চালু হবে শিগগিরই – স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষণা

প্রতিটি নাগরিকের জন্য ইউনিক হেলথ আইডি চালু হবে শিগগিরই – স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষণা প্রতিটি নাগরিকের জন্য ইউনিক হেলথ আইডি চালু হবে শিগগিরই – স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষণা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর জানিয়েছেন, শিগগিরই প্রতিটি নাগরিকের জন্য আলাদা হেলথ আইডি কার্যকর হবে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও স্থিতিশীল করতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা, টেলিহেলথ, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং টিকাদান কর্মসূচি সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিটি নাগরিকের জন্য শিগগিরই আলাদা হেলথ আইডি চালু হবে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর জানিয়েছেন, শিগগিরই বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিকের জন্য আলাদা ইউনিক হেলথ আইডি কার্যকর হবে। মিশরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোতে প্রথম ডি-৮ স্বাস্থ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

উচ্চপর্যায়ের এই সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক ডা. জাফর। তিনি বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলায় বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে কাজ করছে এবং প্রতিটি নাগরিকের জন্য স্বতন্ত্র হেলথ আইডি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক আরও জানান, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়ায় স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরও স্থিতিশীল ও টেকসই করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক যৌথ বাহ্যিক মূল্যায়ন (JEE) শেষে নতুন পাঁচ বছরের জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন চলছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আলমা-আতা ঘোষণার অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে জাতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করেছে। বর্তমানে দেশের ১৪,০০০-এর বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে। এর ফলে মাতৃমৃত্যু ৭০% এবং শিশুমৃত্যু ৬০% কমেছে, এবং গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছর।

বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচি ৯৫%-এর বেশি কভারেজ ধরে রেখেছে, যা বৈশ্বিকভাবে অন্যতম সফল মডেল। এছাড়া দেশজুড়ে ৪০০টির বেশি এনসিডি কর্নার স্থাপন এবং ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে অ-সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বড় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। কমিউনিটি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা অন্তর্ভুক্তি এবং টেলিহেলথ সেবা সম্প্রসারণও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে উঠে এসেছে।

অধ্যাপক জাফর জানান, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বর্তমানে দেশের ৯৮% চাহিদা পূরণ করছে এবং ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।

ডি-৮ সদস্যদের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবিত চারটি যৌথ উদ্যোগ হলো:

  • ডি-৮ ফার্মাসিউটিক্যাল ও ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স: যৌথ গবেষণা, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও ভ্যাকসিন-ওষুধ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি
  • ডি-৮ ডিজিটাল হেলথ কোলাবোরেটিভ: ডিজিটাল স্বাস্থ্য উদ্ভাবন ও তথ্যভিত্তিক রূপান্তর
  • জয়েন্ট ইনিশিয়েটিভ অন হেলথ সিস্টেম রেজিলিয়েন্স: জলবায়ু অভিযোজন, জরুরি প্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়
  • রোহিঙ্গা সংকটে যৌথ সহায়তা

বাংলাদেশ মানবিক কারণে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। অধ্যাপক জাফর বলেন, কায়রোর এই বৈঠক হোক ডি-৮ সদস্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সহযোগিতার নতুন যুগের সূচনা, যেখানে অভিজ্ঞতা ভাগ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আরও ন্যায্য, স্থিতিশীল ও টেকসই স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।

➡️ মেডিকেল ভর্তি ও ভর্তি প্রস্তুতির জন্য ভিজিট করুন: https://www.bebrainer.app/
➡️ সর্বশেষ ভর্তি আপডেট ও নোটিফিকেশন পেতে যুক্ত হোন: https://t.me/bebrainernursing

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *