স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা ঘুচবে কবে? কর্মস্থলে অনুপস্থিত ৪২ হাজার চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী।

গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত এবং স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালগুলোর প্রায় ৪৫ শতাংশ চিকিৎসক, কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্যকর্মী গরহাজির। এতে স্বাস্থ্যসেবায় বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবারও ৪১ হাজার ৯৩২ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। 
এ পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্যসেবায় দলীয় রাজনীতিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দায়িত্ব পালনে অবহেলাকারীদের শাস্তি না হওয়ায় উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে শক্ত তদারকির অভাব।

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে কর্মরত ৯৩ হাজার ৮৩৪ ব্যক্তির দৈনিক উপস্থিতির তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে দেখা গেছে, গত ১১ আগস্ট দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ৫০ হাজার ৮৪৯ জন। ছুটিতে ছিলেন ১ হাজার ৩৫ জন। ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত ছিলেন ৪১ হাজার ৯৩২ জন। আগের দিন অনুপস্থিত ছিলেন ৫২ হাজার ২০৪। গত শুক্রবার ও বৃহস্পতিবারও একই চিত্র দেখা গেছে। 

জুলাই মাসের প্রথম তিন দিনে গড়ে অনুপস্থিত ছিল ৩৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ লোকবল। ১ জুলাই অনুপস্থিত ৩০ হাজার ৭৮৪ জন, ২ জুলাই ৩১ হাজার ১২৭ ও ৩ জুলাই ৩১ হাজার ১২৯ জন। 
এই হিসাবে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় ১২ হাজারের বেশি লোকবল অনুপস্থিত। এতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দৈনিক উপস্থিতি প্রতিবেদনেই  মিলেছে এমন চিত্র।

রাজধানীসহ সারাদেশের বড় হাসপাতালগুলোর পরিচালক, সহকারী পরিচালক, জেলা সিভিল সার্জনসহ আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তারাও সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। 
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব ও বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে যারা অনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন শুধু তারাই হাসপাতালে আসছেন না। যাদের মধ্যে ভয় রয়েছে যে তারা যোগ্যতার ভিত্তিতে পদ পাননি, অন্যায় করেছেন তারাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যোগ্যদের কোনো ভয় নেই।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ বলেন, “এমন অনুপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উচিত সব চিকিৎসক ও সেবাদানকারীর যথাসময়ে উপস্থিত নিশ্চিত করা। বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি, রাজনৈতিক দলের প্রশ্রয়ে থাকা ব্যক্তিরা বিভিন্ন সুবিধা নেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেন না। যে কারণে এমন পরস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটি দূর করার সময় এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন মনে করেন, “কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শক্ত তদারকি দরকার। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আরও কঠোর হতে হবে। যারা দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে নতুন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেন, “স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেই। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অনুপস্থিতির কারণে রোগীরা সেবাবঞ্চিত হলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

𝐅𝐚𝐫𝐢𝐚 𝐌𝐞𝐡𝐣𝐚𝐛𝐢𝐧 

𝐒𝐞𝐧𝐢𝐨𝐫 𝐒𝐭𝐮𝐝𝐞𝐧𝐭 𝐀𝐝𝐯𝐢𝐬𝐨𝐫 & 

𝐒𝐨𝐜𝐢𝐚𝐥 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐌𝐚𝐧𝐚𝐠𝐞𝐫

𝐁𝐞𝐁𝐫𝐚𝐢𝐧𝐞𝐫 𝐍𝐮𝐫𝐬𝐢𝐧𝐠 𝐂𝐨𝐮𝐫𝐬𝐞

📲 আমাদের সাথে যোগাযোগের নাম্বার ও লিংকঃ 

📩 FB Message URL:  http://m.me/107474017326176

📩 Telegram: https://t.me/bebrainerltd

📩 Whatsapp: https://wa.me/+8801796636922 

 📞 অফিস নাম্বারঃ 01796636922 / 01312296333/ 01988054815 / 01984808099 

📲 Website: https://www.bebrainer.app/ 

🎥 Android App: https://play.google.com/store/search?q=bebrainer&c=apps

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights