আত্মবিশ্বাস -সফলতার চাবিকাঠি

🖊️“কোনো মানুষের চেহারা নয়,বরং তার আত্মবিশ্বাস আমাদের বলে সে কতটা সুন্দর।”
~প্যারিস হিলটন

আত্মবিশ্বাস হলো নিজের প্রতি আস্থা রাখা। যেকোনো কাজের জন্যই আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরি। আত্মবিশ্বাসী হলে সব কাজেই জয় আসবে। জীবন গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আত্মবিশ্বাস থাকতেই হব।
আত্নবিশ্বাস হলো একজন মানুষের ভিতরকার শক্তি।আত্নবিশ্বাসী হলে যেকোনো কঠিন ও জটিল কাজ করে ফেলা যায়।

“স্বাস্থ্য হচ্ছে বড় অধিকার।
তৃপ্তি হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ।
আত্মবিশ্বাস হচ্ছে সবচেয়ে বড় বন্ধু।”
~লাও তজু

আত্মবিশ্বাস আমাদের দেয় অনুপ্রেরণা। কোনো অজানা কাজকে প্রথমে আমাদের অনেক কঠিন ও অনেক কষ্টসাধ্যের কাজ মনে হলেও আমরা যদি আত্মবিশ্বাসের সাথে সে কাজ করি তাহলে সহজে কাজটি করতে পারি এবং সফল ও হই।

মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব। আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য কাছের মানুষ, বন্ধু, আত্মীয়স্বজনদের খুবই প্রয়োজন। কেননা কাছের মানুষেরা শক্তি দেয়। সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা ও আত্মবিশ্বাস জোগান দেন তারাই।

আত্নবিশ্বাস কেন প্রয়োজন?
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য আত্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ। বিপণন গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন যে একজন ব্যক্তির সাধারণ আত্মবিশ্বাস নেতিবাচকভাবে তাদের উদ্বেগের মাত্রার সাথে সম্পর্কিত। আত্মবিশ্বাস একজন ব্যক্তির সাধারণ সুস্থতা বৃদ্ধি করে এবং একজনের প্রেরণা] যা প্রায়ই কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

তাই নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে।নিচে কিছু ধাপ উল্লেখ করা হলো :-

📌নিজের সঙ্গে ইতিবাচক কথা বলুন।সবসময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ও সত্য কথা বলুন। এতে করে নিজেকে আরও উন্নত ও ভালো বোধ করতে সাহায্য করবে।

📌আপনার অতীতের ছোট ছোট অর্জন সম্পর্কে চিন্তা করুন।কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন তখন তা নিয়ে চিন্তা করুন যা আপনার জীবনে বড় কিছু অর্জন করতে সাহায্য করবে।

📌অন্যদের কথা শুনুন এবং তাদের প্রশংসা গ্রহণ করুন।আপনার ভালো কাজ গুলোর প্রশংসা আপনাকে দক্ষ হতে অনুপ্রাণিত করবে।

📌পরিশ্রমী মনোভাব থাকা।আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রম মানুষকে উন্নতির শিখড়ে পৌছাতে সাহায্য করে।

📌ভালো ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন নিজেকে।যাতে করে আপনার উঠা বসা হাটা সব কিছুতে আপনার আত্মবিশ্বাস সবার চোখে পড়ে।
সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে –
“প্রথমে দর্শনধারী
তারপর গুন বিচারি”

📌সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।কারণ প্রথমে বড় লক্ষ্য অর্জন করতে গেলে নিজেকে নেতিবাচক অবস্থা ফেলবেন তাই ছোট ছোট লক্ষ্য অর্জন করুন।এতে করে বড় লক্ষ্য অর্জনে অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।

📌হতাশা ও মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।তাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য থাকা প্রয়োজন।

📒অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো না।সেটা আত্মবিশ্বাস হোক বা অন্যকিছু।

ফাহিমা আক্তার নুপুর
বিএসসি ইন নার্সিং
বরিশাল নার্সিং কলেজ, বরিশাল।
বিব্রেইনার মডারেটর টিম 💙🩺

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *